Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এক নজরেঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির অধীনে পরিচালিত জেলা শহরগুলোর মধ্যে সর্বপ্রথম ও বৃহৎ চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে দেশীয় সংস্কৃতির চর্চা, বিকাশ ও প্রচার-প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশে অন্যতম সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক অঞ্চল চট্টগ্রামের মানুষের হাজার বছরের জীবন যাপন ও প্রচেষ্ঠায় গড়ে ওঠা নিজস্ব ঐহিত্য, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্ঠি সহ সংস্কৃতির নানা অনুষঙ্গগুলোকে চর্চা ও পরিবেশনের মাধ্যমে জেলা শিল্পকলা একাডেমি স্থানীয় ও জাতীয়ভাবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির বিভিন্ন কর্মান্ডের মধ্যে অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিশেষ কার্যক্রম হচ্ছে আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির অনুষয্গ সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, চারুকলা, নাট্যকলা ও তালযন্ত্র বিষয়ে শুদ্ধ প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা। নিয়মিত ও পদ্ধতিগত প্রশিক্ষেণের মাধ্যমে তৈরি করার প্রয়াস হচ্ছে শিল্পের নানা শাখায় প্রতিশ্রুতিশীল নিবেদিতপ্রাণ শিল্পীকর্মীর। যার মাধ্যমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা পরবর্তী সময়ে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রকে করছে সমৃদ্ধ। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির তত্বাবধানে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে রয়েছে যেখানে ৬ থেকে ১১ বছরের শিশুরা  সঙ্গীত, নৃত্য, চারুকলা ও আবৃত্তি বিষয়ের দুই বছর মেয়াদী ফাউন্ডেশন কোর্স এবং ১২ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা দুই বছর মেয়াদী আবৃত্তি, তিনবছর মেয়াদী চারুকলা, চারবছর মেয়াদী সঙ্গীত, নৃত্য, তবলা ও নাট্যকলা বিষয়ের বেসিক কোর্স গ্রহণের সুযোগ পেয়ে থাকেন। প্রায় ২৫০০ শিক্ষার্থীর জন্য এখানে নিয়োজিত স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রশিক্ষিত, অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্বরা বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষক হিসেবে উল্লেখিত কোর্সে প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকেন। উল্লেখ্য, প্রশিক্ষণার্থীর সংখ্যার দিক থেকেও এটি দেশের সর্ববৃহৎ সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।

এছাড়াও জেলা শিল্পকলা একাডেমির আরো বিভিন্ন কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাৎসরিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চারুকলা প্রদর্শনী ও বিভিন্ন বিষয়ে সেমিনার, কর্মশালা আয়োজন সহ বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস সমূহ পালন, বাংলা বর্ষবিদায় ও বরণ অনুষ্ঠান, রবীন্দ্র জয়ন্তী ও প্রয়াণ দিবস, নজরুল জয়ন্তী ও প্রয়াণ দিবস, ঋতু ভিত্তিক সাংস্কৃতিক উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, নাট্য উৎসব, লোক সাংস্কৃতিক উৎসব, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী সহ সংশ্লিষ্ট নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়ে থাকে।