Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিভাগীয় পর্যায়ে ৬দিন ব্যাপী মুনীর চৌধুরী ১ম জাতীয় নাট্যোৎসবের উদ্বোধন ও নাটক প্রদর্শনী
বিস্তারিত

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে

 বিভাগীয় পর্যায়ে ৬দিন ব্যাপী মুনীর চৌধুরী ১ম জাতীয় নাট্যোৎসবের উদ্বোধন ও নাটক প্রদর্শনী

শিল্পচর্চার মাধ্যমে মনস্তাত্ত্বিক মুক্তি ও স্বতঃস্ফূর্ততা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের আয়োজনে ও চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় শহীদ মুনীর চৌধুরীকে স্মরণ করে প্রথম বারের মতো মুনীর চৌধুরী জাতীয় নাট্যোৎসব-২০২৫ আয়োজন করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে লক্ষ্মীপুর, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁদপুর, বান্দরবান, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি সহ মোট ১১টি জেলার শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় ৬দিন ব্যাপী নাট্যোৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ১৩ ফেব্রুয়ারি  চট্টগ্রাম জেলাশিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ’র এর সভাপতিত্বে উদ্বোধন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুলাই-২৪ গণঅভ্যুত্থানে চট্টগ্রামের প্রথম শহিদ মো: ওয়াসিম আকরাম এর পিতা মো: শফিউল আলম। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স ডিপার্টমেন্টের সহযোগী অধ্যাপক ড. আবুল বাশার মো. জিয়াউল হক ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক ড. কুন্তল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম গ্রুপ থিয়েটার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন শিল্পচর্চা আমাদের সামাজিক কর্মকাণ্ড এবং জাতি স্বত্তার পরিচয় বহনে বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।  নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে দেশব্যাপী একটি উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে। বাংলাদেশ তারুণ্যের উৎসবে তরুণদের জন্য আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসের মাসে অন্যান্য আয়োজনের পাশাপাশি এই জাতীয় নাট্যোৎসব তরুণদের ভাবনায় ও কাজে কিছুটা গতিময়তা ও স্বতঃস্ফূর্ততা আনতে সক্ষম হবে। সেই সাথে একটি শোষণমুক্ত বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তরুণ প্রজন্মের আত্মদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান পর্ব শেষে লক্ষ্মীপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় প্রদর্শিত হয় নাটক “তীর্থঙ্কর”। নাটকটি রচনা  করেন নাট্যকার সামিনা লুৎফা নিত্রা এবং নির্দেশনায় ছিলেন  মো. তানবীর হাসান।

১৮তারিখ কুমিল্লা জেলা ও চট্টগ্রাম জেলার নাটক প্রদর্শনীর মাধ্যমে সমাপ্ত হওয়া নাট্যোৎসবে ১৫-১৮ ফেব্রুয়ারি প্রতিদিন দুটি জেলার নাটক পরিবেশিত হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধন অনুষ্ঠান ও লক্ষীপুর জেলার প্রযোজনা ‘তীর্থঙ্কর’ প্রদর্শনীর মাধ্যমে শুরু হওয়া ৬দিন ব্যাপী নাট্যোৎসবে প্রদর্শিত হওয়া নাটকগুলো হলো ফেনী জেলার প্রযোজনায় স্বর্ণবোয়াল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রযোজনায় ‘বিস্মৃতি স্মৃতি’, খাগড়াছড়ি জেলার প্রযোজনায় ‘মোধই’, রাঙ্গামটি জেলার প্রযোজনায় ‘স্বপ্নের বয়ান’, কক্সবাজার জেলার প্রযোজনায় ‘সত্যাগমন’, নোয়াখালী জেলার প্রযোজনায় ‘জাল’, চাঁদপুর জেলার প্রযোজনায় প্রত্ন-নাটক ‘লোহাগড় মঠ’, বান্দরবান জেলার প্রযোজনায় ‘চইংজাঃখ্রাং’, কুমিল্লা জেলার প্রযোজনায় ‘বিরাম চিহ্ন’, এবং চট্টগ্রাম জেলার প্রযোজনায় ‘অলগ্গানি’ মোট ১১টি নাটক প্রদর্শিত হয়। ৬দিন ব্যাপী নাট্যোৎসবের সমাপনী দিনে নাটক প্রদর্শনী শেষে চট্টগ্রাম জেলা কালচারাল অফিসার সৈয়দ আয়াজ মাবুদ, অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে ৬দিন ব্যাপী নাট্যোৎসবকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য সকল নাট্যকার, নির্দেশক, কুশীলব ও দর্শকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।



ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
14/02/2025
আর্কাইভ তারিখ
13/02/2026